আত্মনির্ভর ভারত গড়ার প্রচার নিয়ে বর্ধমানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি রাহুল সিনহা

15th June 2020 4:52 pm বর্ধমান
আত্মনির্ভর ভারত গড়ার প্রচার নিয়ে বর্ধমানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি রাহুল সিনহা


দেবাশীষ ঘোষ ( বর্ধমান ) : ২০২১ সালে তৃণমূল মুক্ত বাংলা গড়ার লক্ষ্যে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব জেলায় জেলায় প্রচারে নেমেছে ।বর্তমানে বিভিন্ন রাজ্য থেকে আশা পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছে টানার জন্য বিভিন্ন কৌশল করা হচ্ছে বিজেপির পক্ষ থেকে। সোমবার বর্ধমান ডিভিসি মোড় বিজেপি জেলা কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো ।এদিন বর্ধমান জেলা কমিটির পক্ষ থেকে এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাহুল সিনহা, বর্ধমান জেলা সভাপতি সন্দ্বীপ নন্দী সহ অন্যান্য কার্যকর্তা ।এদিন সাংবাদিক সম্মেলন শুরুর আগে বিজেপি জেলা কমিটির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিনহা কে পুষ্পস্তবক দিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন সন্দীপ নন্দী। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাহুল সিনহা বলেন রাজ্যে ৭৮ হাজার  বুথের  প্রতিটি পরিবারে বিজেপির কার্যকর্তা গিয়ে নরেন্দ্র মোদির আত্মনির্ভর ভারত গড়ার বার্তা পৌঁছে দেবেন ।রাহুল সিনহা বলেন যাদের কিষান ক্রেডিট কার্ড আছে তাদের ব্যাংক একাউন্টে সরাসরি টাকা পৌঁছে দেওয়া হবে। আরো বলেন যেসব মানুষ রাস্তায় ফেরি করে জীবিকা নির্বাহ করেন ,তাদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার দু লক্ষ কোটি টাকা আর সংস্থান রেখেছেন। এর পাশাপাশি  রেশম শিল্পী ,মৌমাছি পালক সহ ক্ষুদ্র শিল্পীদের জন্য আর্থিক সহায়তার কথাও বলেন তিনি। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাহুল সিনহা বলেন বিজেপি পার্টি চলবে আগে আগে তৃণমূল চলবে পিছন পিছন। রাহুল সিনা অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো ৫ কেজি চাল লুট হচ্ছে।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।